চবিতে নিলস-এলইবি জাতীয় ছায়া আইনসভার উদ্বোধন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সংসদীয় প্রতিযোগিতা, নিলস-এলইবি জাতীয় ছায়া আইনসভা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২৩ মে ২০২৫ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের এ. কে. খান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন যৌথভাবে করছে দ্য নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস (নিলস) এবং লিগ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট বাংলাদেশ (এলইবি)।
 
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম শান্তু, চবি আইন বিভাগের প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান এবং সহকারী অধ্যাপক সাঈদ আহসান খালিদ।
 
প্রধান অতিথি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান বলেন, আইন শুধু আদালতের জন্য নয়, প্রত্যেক নাগরিকের উচিত আইন ও দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা জানা। চার বছর পড়েও অনেক আইন শিক্ষার্থী পরিবর্তন আনতে পারে না। এনএনএলএ-২০২৫ শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়; এটি এই সত্যের অনুস্মারক যে, যুব সমাজই দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতার ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষক এবং তারাই পারে জাতির প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী আইন গঠন করতে।
 
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ সকলকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এ কর্মসূচি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ, যা আমাদের ভবিষ্যৎ আইন প্রণেতাদের গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তানজিম মালিহা তাহা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইতমিনান মনির বাসিলিসের সঞ্চালনায় সকাল ৯:৩০টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
 
উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে ৪০টিরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারীরা এসেছেন এবং ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আয়োজক হিসেবে অবদান রেখেছেন। এ আয়োজনের আহ্বায়ক রাব্বী তৌহিদ বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন একটি চমৎকার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পেরে আমরা গর্বিত এবং আমরা আশা করি যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
 
এ ইভেন্টের জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করেছে। ক্লাব পার্টনারদের মধ্যে রয়েছে এআইইউবি মুট কোর্ট ক্লাব, এইউএসটি ডিবেটিং ক্লাব, ফেনী ইউনিভার্সিটি ল মুটিং সোসাইটি, এনএসইউএলএমএস, জেইউমুনা, এনএসটিইউ ডিবেটিং সোসাইটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং অর্গানাইজেশন, সাউথইস্ট মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস ক্লাব, বিআইইউডিসি। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চট্টগ্রাম ল ইনস্টিটিউট নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে। অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে স্ন্যাকস পার্টনার হিসেবে প্রাণ, ফটোগ্রাফি পার্টনার হিসেবে সাদিওগ্রাফি এবং সায়েমস ডেইলি, লজিস্টিকস পার্টনার হিসেবে মাস সুমান্ত্রা, নেটওয়ার্কিং পার্টনার হিসেবে পুনাব, উচ্চশিক্ষা পার্টনার হিসেবে নুসাইর এডুকেশন, স্যুভেনিয়ার পার্টনার হিসেবে জিয়া হাবিব অ্যান্ড আহসান অ্যাসোসিয়েটস, রিফ্রেশমেন্ট পার্টনার হিসেবে নেসক্যাফে, শিক্ষা পার্টনার হিসেবে সিবিআইউ এবং কো-স্পন্সর হিসেবে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি।
 
এ অনুষ্ঠানের টেলিভিশন মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল ২৪ ও একাত্তর টিভি। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার হলো বাংলাদেশ প্রতিদিন। অনলাইন প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার দৈনিক আজাদী, গণমাধ্যম সহযোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালিস্টস’ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলা অনলাইন মিডিয়া পার্টনার ডেইলি কালবেলা এবং ইংরেজি প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার দ্য ডেইলি অবজারভার এ অনুষ্ঠানের সংবাদ প্রচারে সহযোগিতা করেছে।
Scroll to Top